মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
কাশ্মির সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ফের গোলাগুলি: টানা পাঁচ রাত উত্তেজনা জাতীয় ভোক্তার অধিকারের অভিযানে গাংনীতে দুই প্রতিষ্ঠানের ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রচণ্ড গরমে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এডভোকেট শেখ হাবিবুর রহমান। কুড়িগ্রামে বখাটের দায়ের কোপে স্কুল শিক্ষার্থী আহত বোয়ালমারীতে বি আর ডি বির পদ দখলে মরিয়া এক আওয়ামীলীগ নেতা! ঠাকুরপুরে সরকারী হালট দখল করে রান্না ঘর জয়পুরহাটে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে র‍্যালী ও আলোচনা সভা র‌্যাবের অভিযানে অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারসহ অপহরণকারী গ্রেফতার মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে আঞ্জুমান ও মইনীয়া যুব ফোরামের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত** নওগাঁয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

দুধকুমারে তীর রক্ষা বাঁধের কাজ একবছর ধরে বন্ধ, ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী

 

সমাপ্তি ইসলাম

বিশেষ প্রতিনিধি , কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামে দুধকুমার নদীর তীরে নির্মাণাধীন রক্ষা বাঁধের কাজ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে নদীর পাড়ঘেঁষে বসবাসরত এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, দুধকুমার নদীর ভাঙন প্রতিরোধে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্প’ গ্রহণ করে। প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামে ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের তীর রক্ষা বাঁধ (প্যাকেজ নং-১০) নির্মাণের দায়িত্ব পায় “এসএ-এসআই প্রাইভেট লিমিটেড এন্ড টিআই জেভি” নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বরাদ্দ ধরা হয় ১০ কোটি ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৩০ টাকা।

২০২২ সালের ১ মে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং কাজ শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল ১৪ মাস। সে অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৯ জুন কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ সম্পন্ন হয়নি। নির্মাণকাজের নামে শুধুমাত্র কিছু জিও ব্যাগ ফেলা ও কংক্রিট ব্লক তৈরির পর কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলাকা ত্যাগ করে গা ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

 

বাঁধ নির্মাণ বন্ধ থাকায় উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেন, “বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন এক বছর ধরে কাজ বন্ধ, আবার আগের মতোই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।” স্থানীয় গৃহবধূ জেসমিন বেগম ও মর্জিনা বেগম বলেন, “বর্ষাকাল আসন্ন। এর মধ্যে যদি বাঁধ নির্মাণ না হয়, তাহলে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে যাবে। আমরা কোথায় যাব?”

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম ও যুবক পাপ্পু জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের কাছে তাদের আর্থিক পাওনা রয়েছে। তিনি ফোনও ধরেন না। একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিজানুর রহমান নামে এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “বাঁধ না হলে আবার নদী ভাঙলে আমরা বিপদে পড়ব।”

বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “এসএ-এসআই প্রাইভেট লিমিটেড এন্ড টিআই জেভি”–র কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত