রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
দেশের সবচেয়ে উঁচু পতাকা উড়বে তেঁতুলিয়ার’ বাংলাবান্ধায়। দিনাজপুরে মহিলা পরিষদের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে দুই ভুয়া ডিবি আটক চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ব্রাক মোড় থেকে ছাগল চোর আটক। উন্নত রাষ্ট্র গড়তে হলে পুলিশকে শক্তিশালি করতে হবে: পুলিশ সুপার মারুফাত ঈদগাঁওতে ওপেন হাউজ ডে- আওয়ামী দোসরদের গ্রেপ্তার দাবি ঢাকায় চোর চক্রের ৩ সদস্যকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করেছে সাভার থানা পুলিশ” বাঁশের সাঁকোয় ভরসা ২ উপজেলার মানুষের নওগাঁয় মানবিক বাংলাদেশ শীর্ষক বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

বাঁশের সাঁকোয় ভরসা ২ উপজেলার মানুষের

বাঁশের সাঁকোয় ভরসা ২ উপজেলার মানুষের

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা।

উত্তরের দুই জেলাকে বিভক্তকারী করতোয়ার শাখা ঘিল্লাই নদীর ওপরে স্বাধীনতার পর এ দীর্ঘ সময়েও সেতু হয়নি। এর অভাবে কৃষক, শিক্ষার্থীসহ এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ যেন কাটছেই না। যদিও স্থানীয়ভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে এর ওপর হেঁটে কিংবা সাইকেল নিয়ে নদী পারাপার হয় তারা। সাঁকোর দুই পারে কাঁচা রাস্তা।

এতে বর্ষার সময় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় মানুষকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এর আশপাশের গ্রামের বিভিন্ন চাষাবাদের ফসল সময়মতো বাজারজাত করা যায় না। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয় কৃষক। আবার কেউ অসুস্থ হলে রোগী নিয়ে খুব কষ্টে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।

জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও এখানে সেতু নির্মাণ হয়নি। স্থানীয়রা জানায়, ওই বাঁশের সাঁকোর এক পাশে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার চকগোপালপুর ইউনিয়ন। অন্য পাশে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর। বাঁশের সাঁকোর জায়গায় একটি সেতু নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের দুই জেলার দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে এলাকাটি।চকগোপাল গ্রাম থেকে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রায় ৪০ কিলোমিটার। আর নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রায় ৮ কিলোমিটার। সাঁকোর দুই পাশেই কয়েক মাইল কাঁচা রাস্তা। সেখান দিয়ে চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষিপণ্য পরিবহনসহ সব কিছুতেই সব পেশার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মজিদনগর কারিগরি স্কুলের শিক্ষার্থী পারভীন জানায়, প্রতিনিয়ত আমাদেরকে ৩/৪ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যেতে হয় স্কুলে।হেঁটে যাওয়ার কারণে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ি। কোনো যানবাহন আসতে চায় না, যেতেও চায় না সাঁকোর কারণে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি ছোট থেকে দেখে আসছি করতোয়ার শাখা ঘিল্লাই নদীর ওপরে এই সাঁকো। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। ফসলের ন্যায্যমূল্য পাই না। জনপ্রতিনিধিরা কথা দিলেও আজও হয়নি এ স্থানে সেতু নির্মাণ। চকগোপাল ইউপি মেম্বার আফাজ উদ্দিন বলেন, সাঁকোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে স্কুল-কলেজ, চিকিৎসার জন্য যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
কোনো যানবাহন যাওয়া-আসা করে না। এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব প্রয়োজন।

রোকনুজ্জামান
সংবাদদাতা
নবাবগঞ্জ দিনাজপুর
তা: ১৯-০৪-২০২৫
০১৭২৪৬৬৪৭৮২

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত