বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
মোঃ মিনারুল ইসলাম
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি দামুড়হুদা চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা সদর পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর রহমান এক সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছে।
দামুড়হুদা সদর মডেল থানায় পুত্রবধূ ও পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর সহ অঙ্গাতনাম ২/৩ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ রয়েছে পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর এর আগেও এমন একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাকরি সুবাদে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলাম উপজেলা সদরের দেউলী মোড় সংলগ্ন নতিপোতা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের বাসায় দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া থেকে বসবাস করে আসছিলেন। ওই বাড়িতে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মক্তবপাড়ার এক সেনা সদস্যর স্ত্রী মোছাঃ স্মৃতি খাতুন নীতু তার একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে একই ববাড়িতে ভাড়া থেকে বসবাস করে আসছিলেন।
উভয়ে দীর্ঘদিন একই বাসায় ভাড়া থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে অবৈধ প্রেমের পরকীয়া সম্পর্ক। অবৈধ সম্পর্ক তাদের উভয়ের মধ্যে গভীর থেকে গভীরে রুপ নিলে তারা অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জামান। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর শ্বশুর বাদী হয়ে অভিযুক্ত গৃহবধূ সহ তার পরকীয়া প্রেমিক পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলাম ও সহযোগী আরও ২/৩ জন অঙ্গাতনামর বিরুদ্ধে (২৪ এপ্রিল) দামুড়হুদা মডেল থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তার সেনাসদস্য ছেলের সাথে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পূর্বে একই গ্রামের নীতু (ছব্দনাম) এর সাথে ধর্মীয় রীতিমতো বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমার ছেলের সংসার আলোকিত করতে জন্ম হয় এক ছেলে সন্তান।যার বর্তমান বয়স ৯ বছর।পরবর্তীতে আমার ছেলের সংসারে বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে সৃষ্টি হয় মনোমালিন্য। পরে আমার ছেলে তাকে দামুড়হুদা বাসা ভাড়া করে রাখেন, সেখানেই আমার ছেলের স্ত্রী ও আমার নাতিছেলে বসবাস করে আসছিলেন। তবে আমার ছেলের স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে মোবাইলে কথা বলতেন। এমন বিষটি বুঝতে পেরে আমি একাধিকবার আমার ছেলেকে জানালেও ছেলে তা আমলে নেয়নি। পরে জানতে পারি আমার ছেলের স্ত্রীর যে বাসায় ভাড়া থাকেন সে বাসাতে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগিন্দ গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে উপজেলা পাট কর্মকর্তা কোন অভিযোগ নাই।